আমার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে উপলব্ধি করেছি ইসলামের পক্ষে মানুষের অবস্থান এতো বেশি যে,বিরোধীরা সম্মুখযুদ্ধে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রাখে না। কিন্তু কতিপয় কৌশল অবলম্বন করায় স্যাকুলারগোষ্ঠী আজ আমাদের সামনে বিশাল কিছু একটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল গণজাগরণ মঞ্চের মিছিলে হাজার খানেক মানুষ ছিলো। যা হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর মিছিলের ১০০% এর ০৫% ও না। কিন্তু অনলাইনে তাদের প্রচার প্রসারের অবস্থা তো এমন যে,অনভিজ্ঞ কেউ পড়লে ভাববে মিছিলে গন-জোয়ার উঠেছিলো।
আগামীকালের লংমার্চ ও সমাবেশ সামনে রেখে আমার পরামর্শ হচ্ছে,যারা অনলাইনে নাস্তিকতা সম্পর্কে অবগত এবং ব্লগে লেখালেখি করেন; যদি আপনার মনে হয় আপনি তাদের মোকাবিলা করার মতো কিছুটা যোগ্যতা রাখেন; একটু পরিশ্রম করে হলেও তাদের মিথ্যা প্রোপাগান্ডার সাধ্যাতীত জবাব দিতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজন পড়লে অন্য ভাইয়ের সাহায্য নিন। হেফাজতে ইসলামের সম্পর্কে ইতিবাচক কথাবার্তা ছড়িয়ে দিন।
এখন তারা বিভিন্ন অপপ্রচার চালাতে ব্যস্ত। উদাহরণ স্বরূপ বলছি; ১)আল্লামা আহমাদ শফী রাজাকার। ২) হেফাজতে ইসলাম মূলত হেফাজতে জামায়াতে ইসলাম। ৩) হেফাজতে ইসলাম বিএনপি,জামায়াতের প্রতিনিধি ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর আমাদের হাতে আছে। আপনি নিজ দায়িত্ব মনে করে উত্তর লিখে ছড়িয়ে দিন অথবা কোথাও এসংক্রান্ত কিছু পেলে নির্দ্বিধায় নিজ আইডি থেকে শেয়ার করুন।
আর যারা শুধু ফেসবুক কিংবা অন্য সামাজিক সাইটে ব্যস্ত, তারা হেফাজতে ইসলাম সম্বন্ধে বিভিন্ন ইতিবাচক সংবাদ লিখে প্রচার করতে থাকুন। যেসব বন্ধুকে আপনার হেফাজত বিরোধী মনে হয় তার সাথে যৌক্তিক আলোচনা করুন। তার ওয়ালে ভালো লেখা পোস্ট করুন। ইটের বদলে পাটকেল হচ্ছে সবচেয়ে যথার্থ অস্ত্র। তবে অবশ্যই তর্কে যাবেন না। আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে আপনার সামান্য খিদমাত হতে পারে অনেক কিছু। April 5, 2013