অনলাইনে বেশ কিছু কাজ আটকে আছে। অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম সময় নিয়ে অনলাইনে আসবো। এরমাঝে একটা কাজ ছিলো ফেসবুকে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে যুক্ত হওয়া হাবিজাবি গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসা। আজ কিছু সময় পেয়ে অন্তত ১০০ গ্রুপ ত্যাগ (leave) করলাম। সময় গেলো অনেক। এখনো ১৫০+ গ্রুপে যুক্ত। ইন্টারনেটের যে স্পীড! হাবিজাবিগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে কতক্ষণ লাগবে বুঝতে পারছি না।
যার যেমন খুশি গ্রুপ বানায় আর ইচ্ছেমত Add করে। এতো প্রতিভা নিয়ে মানুষ বেঁচে আছে কিভাবে বুঝতে পারি না! ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ বানিয়ে ভালো কাজ যে করা যায় তার উদাহরণ নিপীড়িত সাবেক কওমী গ্রুপ। মুহতারাম ইউসুফ সুলতান ভাই “ইসলামী অর্থনীতি ফোরাম” নামে একটি গ্রুপে যুক্ত করেছিলেন। এই গ্রুপের মাধ্যমে ইসলামী অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সহজে জানতে পারি। “শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)” নামের একটি গ্রুপকেও ভালো লাগে। এভাবে আরও কিছু গ্রুপের কথা বলতে পারবো, যেগুলো সত্যিই বেশ কাজের।
কিন্তু কিছু মানুষ কখনোই এই জাতীয় গ্রুপের মূল্য বুঝবে না। তাদের ভাবনায় আসবে না যে, যা খুশি তা নিয়ে গ্রুপ বানিয়ে অনুমতি ছাড়া কাউকে Add করা কোনো ভালো কাজ নয়। অদ্ভুত অদ্ভুত নামের গ্রুপ দেখে হাসিও যা আসে না তা নয়। লিভ দিতে গিয়ে “অমুক ইউনিয়ন অমুক ওয়ার্ড অমুক দল” নামে বেশকিছু গ্রুপ দেখলাম। লাকি আপা, পাকি আপা নামের গ্রুপেরও অভাব নেই। অমুককে এমপি তমুককে মেম্বার ওই থানাকে জেলা দেখতে চাই নামের গ্রুপও আছে অনেকগুলো। ফেসবুক পার্টি, এড মি প্লিজ নামের গ্রুপও আছে! সোজা ভাষায় বললে যার যা ইচ্ছে তাই নিয়ে গ্রুপ বানিয়ে অনুমতি ছাড়া এড করে দেয়!
আজ থেকে পাক্কা ইরাদা, চিনি না জানি না এমন কেউ যদি সম্পূর্ণ অকাজের কোনো গ্রুপে এড করেন, সাথে সাথে ব্লক করে দেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আর পরিচিতদের উপর আমার বিশ্বাস আছে।সো ভালো গ্রুপ হলে আমায় যুক্ত করবেন। ভালো কিছুর সাথে সবসময় আছি, থাকতেও চাই। বিরক্ত হওয়ার কোনো অভিরুচি নেই। ফেসবুকে প্রকাশিত