ধর্মের অপর নাম বিশ্বাস। যুক্তি তর্কের আলোকে দৃষ্টি/শ্রবণ শক্তির সহায়তায় বিশ্বাস স্থাপনের নাম ধর্ম নয়। অজানা অচেনা সত্ত্বার উপর হৃদয়ের গভীর হতে স্থাপিত বিশ্বাসকে ধর্ম বলে। (এটি ধর্মের অসম্পূর্ণ বা একমুখী সংজ্ঞা)
পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ ধর্মে বিশ্বাসী অথবা এভাবে বলা উচিৎ গুটিকয়েক ছাড়া পৃথিবীর সব মানুষ ধর্মে বিশ্বাসী। কারণ ধর্মীয় বিশ্বাস মানুষের জন্মগত বৈশিষ্ট্য। ধর্ম মানুষকে এক অন্তহীন জীবনের জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পথ প্রদর্শন করে।
ধর্মীয় বিশ্বাস মানুষের জন্মগত বৈশিষ্ট্য হবার কারণ হচ্ছে, মানুষ বেঁচে থাকে আশায়। আর প্রার্থিত বস্তু পাবার সম্ভাবনায় বিশ্বাসকে আশা বলা হয়। সুতরাং বলা যায়, বিশ্বাসকে কেন্দ্র করেই বেঁচে থাকে মানুষ। আরও সহজভাবে বললে মানুষের বেঁচে থাকার উৎস হচ্ছে বিশ্বাস। যেমন: মানুষ ক্ষেত করে ধান লাভের আশায়। পড়াশুনা করে শিক্ষা লাভের আশায়। চাকরী করে উপার্জনের আশায়। বিয়ে করে সুখের আশায়। সুতরাং বিশ্বাস মানুষের স্বভাবজাত বিষয় এটি সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত।
“ধর্মীয় বিশ্বাস মানুষের জন্য কল্যাণকর নাকি বিপদজনক” এই বিষয়টি আলোচনার উপযুক্ত নয়। যেহেতু অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাসী। আর কল্যাণকর বলেই মানুষ ধর্মে বিশ্বাসী। সুতরাং গুটিকয়েক নাস্তিক্যবাদ এবং অজ্ঞেয়বাদে (অজ্ঞেয়বাদ (ইংরেজি: Agnosticism) একটি দর্শন, যা বিভিন্ন মৌলিক প্রশ্ন বা ধর্মীয় দাবি, যেমন – ঈশ্বর-এর অস্তিত্ব, ইত্যাদির সত্যতাকে মনে করে অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয়, তথাপি জীবনযাপনের জন্য অগুরুত্বপূর্ণ। অজ্ঞেয়বাদ, নাস্তিকতাবাদ হতে ভিন্ন, কেননা নাস্তিকতাবাদ ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতা দাবী করে, যেখানে অজ্ঞেয়বাদ এই দাবীর প্রশ্নেও সমান সন্দিহান।) বিশ্বাসীর হাস্যকর সব যুক্তিকে হিসেবে নিয়ে ধর্মের কল্যাণ/অকল্যাণ প্রমাণের যৌক্তিকতা নেই।
কিন্তু ধর্ম যেহেতু কল্যাণের জন্য। আর মহান স্রষ্টার সৃষ্টি হিসেবে কল্যাণ প্রাপ্তির অধিকার সবার রয়েছে। এই বিবেচনায় ধার্মিকগণ সবসময়ই অবিশ্বাসীদের বালখিল্যতাকে আমলে না নিয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হাস্যকর সব অভিযোগের গ্রহণযোগ্য উত্তর প্রদান করেছেন। কিন্তু মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে গেলে তো মানুষ অমানুষে পরিণত হয়। লোভ, প্রতারণা যখন মানুষের স্বভাবে পরিণত হয়, তখন আপন মা,বোন আর স্ত্রীর পার্থক্য ভুলে যায়। আমাদের ফ্রি থিংকার বা মুক্তমনাদের হয়েছে এই দশা। সত্য এড়িয়ে মিথ্যার আশ্রয়ে স্বার্থ উদ্ধারের নেশা একেকজন মুক্তমনাকে পাগলা কুকুরে পরিণত করেছে। চলবে……. ফেসবুকে প্রকাশিত
*একটু কষ্ট পড়লে সময় নষ্ট হবে না ইনশাল্লাহ।