বিগত শতাব্দীতে বিশ্ববাসীর উপর উলামায়ে দেওবন্দের অবদান এতো বেশি যে, দ্বীনী খিদমাতে তাঁদের অবদানকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। মুফতী তাক্বী উসমানী (হাফিজাহুল্লাহ), মাওলানা তারেক জামীল (হাফিজাহুল্লাহ) –এর ন্যায় গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিগণ পুরো পৃথিবী ভ্রমণ করে বলেছেন, উলামায়ে দেওবন্দের মতো দ্বিতীয় আরেকটি জামাত বিশ্বের বুকে নেই।
কাদিয়ানী গোষ্ঠী যখন রাসূল (সা:) –এর নামে মিথ্যাচার করেছে, উলামায়ে দেওবন্দ তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। সাহাবায়ে কেরামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে, উলামায়ে দেওবন্দ রুখে দাঁড়িয়েছেন।
যখন দ্বীনের বিরুদ্ধে কেউ অস্ত্র ধারণ করেছে, উলামায়ে দেওবন্দ অস্ত্র হাতে নিয়েছেন। দ্বীনের মোকাবেলায় কলম ব্যবহার করেছে, উলামায়ে দেওবন্দ কলম দিয়ে জবাব দিয়েছেন। বিতর্কের আহ্বান করেছে, উলামায়ে দেওবন্দ বিতর্কে অংশ নিয়ে পরাভূত করেছেন। বাতিল সম্প্রদায়ের ভয়ে উলামায়ে দেওবন্দ কখনো পালিয়ে যাননি।
শায়খুল হিন্দ মাহমুদ হাসান (রহঃ), সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ), আশরাফ আলী থানভী (রহঃ), ইলিয়াস (রহঃ), আনোয়ার শাহ কাশ্মীরী (রহঃ), ইউসুফ বানূরী (রহঃ), আমীন সফদর (রহঃ) প্রমুখ উলামায়ে কেরামের জীবন পর্যালোচনা করলে উলামায়ে দেওবন্দের অবদান অনুভব করা যায়।
এক শায়খুল হিন্দের মোকাবেলায় ব্রিটিশ গোষ্ঠী অসহায় হয়ে পড়েছিলো। অর্জিত হয়েছিলো স্বাধীনতা। মাদানী (রহঃ) –এর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত উপহার দিয়েছিলো পাকিস্তান। হাকীমুল উম্মত (রহঃ) –এর সহস্রাধিক কিতাব জাতিকে দেখিয়েছিল নতুন দিগন্ত। ইলিয়াস (রহঃ) পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন রাসূলের সুন্নাত। ইউসুফ বানূরী (রহঃ) “আক্বিদায়ে খতমে নবুওয়াত” কনফারেন্সে এশা থেকে নিয়ে ফজর পর্যন্ত বক্তব্য রেখেছিলেন। কোর্টের ভেতরে বিচারপতির সামনে কাদিয়ানীদের অমুসলিম প্রমাণ করেছিলেন। আমীন সফদর (রহঃ) বিতার্কিকের ভূমিকায় বাতিল গোষ্ঠীকে চুপসে দিয়েছিলেন।
দেওবন্দিয়াত কাপুরুষতার নাম নয়। মিথ্যাচারের নাম দেওবন্দিয়াত নয়। যারা দেওবন্দের নামে মিথ্যাচার করছে, তারা কূপে অবস্থানকারী সেই ব্যাঙের মতো, যে কূপের বাইরে পৃথিবীর অস্তিত্বে বিশ্বাসীই নয়। ফেসবুকে প্রকাশিত