শায়খুল হাদিস আবদুল হান্নান (রহঃ) এর জানাযায় শেষ পর্যন্ত অংশগ্রহণ করতে পারলাম। আলহামদুলিল্লাহ্। মাত্র ২/৩ মিনিটের বিলম্ব এতোদূরের সফরকে ব্যর্থ বানিয়ে দিতো।
পাগলায় ইতিপূর্বে অনেকবার যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। এতোদিন যাওয়া হয়নি। অবশেষে আজ গেলাম। কিন্তু এই যাত্রাটা ছিলো বড্ড কষ্টের। পাগলার সোনার মানুষটিকে শেষ বিদায় জানাতে মাদরাসা ময়দানে সমবেত হয়েছিলেন, কয়েক হাজার জনতা।
শোকার্ত জনতার নোনাজল আর আকাশের মেঘমালার তীব্র ক্রন্দনে আজকের প্রভাতের সূচনা। একসময় আকাশ শান্ত হলেও মানব হৃদয়ের অস্থিরতা ছিলো বহমান।
আমার পাশে দাড়ানো ধবধবে সাদা দাড়িওয়ালা বৃদ্ধের কান্না যে কারো হৃদয়েই আঘাত হানতো। শাইখ পুত্রদের আর্তনাদ কঠিন পাথরকে চূর্ণ করে দিতো। অশ্রুসিক্ত চোখ আর কম্পিত কন্ঠে বলা “মাসুম…..আমার আব্বার জন্য দোয়া করবেন!” আমার হৃদয়ের অস্থিরতাও বাড়িয়ে দিয়েছিলো।
জানাযা শেষে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সিলেটের পথে রওয়ানা। অতঃপর…….. ফেসবুকে প্রকাশিত
অবশেষে জানাযায় অংশগ্রহণ
০