তাহির উল কাদরী পারস্পরিক দূরত্ব কমানোর লক্ষ্যে “মুসলিম খৃস্টান ডায়লগ ফোরাম (MCDF)” প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি খৃস্টান পাদ্রীদের মসজিদে ইবাদতের অনুমতি প্রদান করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর তার প্রতিষ্ঠিত “তাহরীকে মিনহাজুল কুরআন” –এর তত্ত্বাবধানে বড়দিন উপলক্ষে খৃস্টান জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে কেক কাঁটা হয়ে থাকে। তার এসব কর্মকাণ্ডে খুশী হয়ে ২০১০ সালে লাহোরের ব্যাপ্টিস্ট চার্চে মুসলমানরা প্রথমবারের মতো নামাজ পড়ার অনুমতি পান। সেই চার্চে তার পুত্র হুসাইন মুহিউদ্দিন কাদরির তত্ত্বাবধানে “মিলাদে মুস্তফা (সা:) কনফারেন্স” ও অনুষ্ঠিত হয়।
বাস্তবতা হচ্ছে, MCDF প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাহির আল কাদরী মুসলিম খৃস্টান ধর্মকে সমতায় নিয়ে আসতে চেয়েছেন। “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” এই দর্শন বাস্তবায়ন যাঁদের উদ্দেশ্য, তারা আর যাই হোক, প্রকৃত মুসলমান নয়।
তার ভক্তবৃন্দের দাবী, শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী প্রমাণ করতে গিয়ে তাহির উল কাদরী “কুরআন, হাদীস, সাহাবা ও তাবিয়ীনের আমল, ইমামগণের মতামত” –সহ হাজার পৃষ্ঠার এমন একটি পুস্তক রচনা করেছেন, যার বিরুদ্ধাচরণ করার সামর্থ্য কারো নেই। তার বই লেখার কারণে মুসলিম বিশ্বে এখন প্রথম যুগের মতো মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়! হা হা হা! বেশ অদ্ভুত দাবী!!! এই দাবীর বিরুদ্ধে কিছু না বললেও চলে! চলবে……… ফেসবুকে প্রকাশিত