রাজনীতি নিয়ে কথা রাজনীতিবিদদের মুখেই অধিক শোভা পায়। আমি রাজনীতি বিমুখ না হলেও রাজনীতি মুক্ত মানুষ। সেই হিসেবে রাজনৈতিক আলাপন ভালো দেখায় না। তবুও……
অধিকাংশ লেখক পাঠকের জন্য লেখালেখি করেন। আমি আমার কল্পনার রঙ হটাত বদলে যাবার দুঃখে; আমার ভাবনার জগত বদলের লক্ষ্যে; শুধুই আমার জন্য লিখছি।
সম্প্রতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, জুনাইদ আল হাবীব, তাফাজ্জুল হক আজিজ (দা: বাঃ) প্রমুখ উলামায়ে কেরাম দলবদল করেছেন। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে দলবদল অতি স্বাভাবিক বিষয়। আর দেশটা যখন বাংলাদেশ। গণতন্ত্র তার সর্বাধিক নিকৃষ্ট চেহারা নিয়েই তো এখানে রাজত্ব করছে। বিজ্ঞজনেরা যেখানে বলে থাকেন; এই দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তখন এই দেশের রাজনীতিবিদদের নিয়ে এতোটা উচ্ছ্বাসিত হবার কোনো সুযোগই তো নেই।
বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি সবসময়ই পিছনের সারিতে ছিলো। হয়তো নেতৃবৃন্দ নিজেদের সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি কিংবা অন্য কোনো কারণ ছিলো। এসবের সাথে বৃহৎ একটি সমস্যা ছিলো ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অকর্মক অবস্থান। রাজনীতি ঘড়ির কাঁটার মতো। কিন্তু ইসলামী রাজনীতি এলার্ম ঘড়ির মতো। প্রয়োজনে বাজে। নয়তো নীরব থাকে।
বিবেচনা বোধের অভাব ইসলামী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের আরেকটি বৃহৎ সমস্যা। আমাদের রাজনীতি যদি হতো আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যে, তবে সবসময়ই সতর্ক থাকতাম। অন্যের দোষ-চর্চা, মিথ্যাচার, অপবাদ রটনার মতো বৃহৎ গোনাহের কাজকে খেলার মতো সহজ বানিয়ে নিতাম না। কর্মের ক্ষেত্রে আমাদের বিবেচনাহীন অন্ধ অনুসরণ দ্বারা সুস্পষ্ট যে, আমরা পার্থিব জগতে লাভবান নই, পারলৌকিক জগতেও সম্ভবত… (আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করুন)
*অসম্পূর্ণ লেখা পড়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ একটি অনুচিত কর্ম বলে বিবেচিত হয়ে থাকে! ফেসবুকে প্রকাশিত