ধর্মীয় হোক আর ধর্মনিরপেক্ষ, রাজনীতিতে দলবদল স্বাভাবিক বিষয় নয়। কিন্তু উপমহাদেশীয় রাজনীতিতে দলগঠন আর দলবদল অতি স্বাভাবিক বিষয়। ছোট ছোট বিষয়কে কেন্দ্র করে দলবদল আর দলগঠনের অজস্র দৃষ্টান্ত এখানে খুঁজে পাওয়া যায়।
রাজনীতি অথবা রাজনীতির বাইরে ইতিহাস খুঁজলে দেখবেন, উলামায়ে কেরামের পারস্পারিক মতানৈক্যের ইতিহাসও একেবারে ছোট নয়। ব্রিটিশ বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে শাইখুল হিন্দ (রহঃ) -এর সাথে দারুল উলূম কর্তৃপক্ষের বিরোধ, উবায়দুল্লাহ সিন্ধী (রহঃ) -এর সাথে উলামায়ে দেওবন্দের বিরোধ, হাকীমুল উম্মত থানভী (রহঃ) -এর সাথে শাইখুল ইসলাম মাদানী (রহঃ) –এর বিরোধ, যুক্তফ্রন্টের সাথে শামসুল হক ফরিদপুরী (রহঃ) –এর বিরোধ, হাফিজ্জী হুজুর (রহঃ) –এর সাথে আজিজুল হক (রহঃ) –এর বিরোধসহ অসংখ্য অগণিত বিষয়ে উলামায়ে কেরামের মাঝে মতানৈক্য হয়েছে। তবে এতোসব অনৈক্যের পরও তাঁদের দ্বীনী খিদমাত বাধাগ্রস্ত হয়নি। হারিয়ে যায়নি তাঁদের অবদান।
রাজনীতিতে দলবদল কিংবা দলগঠনেরও অজস্র দৃষ্টান্ত রয়েছে। পাকিস্তান শাসনামলে একসময় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে নেযামে ইসলাম পার্টি কাজ করেছিলো। অতঃপর নেযামে ইসলাম পার্টিকে স্বস্থানে রেখে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের রাজনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় সূচিত হয়।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের উপদেষ্টা থাকাকালীন হাফিজ্জী হুজুর (রহঃ) খেলাফত আন্দোলন গঠন করেন। খেলাফত আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় দায়িত্বশীল থাকাবস্থায় শায়খুল হাদীস (রহঃ) –এর নেতৃত্বে গঠিত হয় খেলাফত মজলিস। মুফতী আমিনী (রহঃ) একসময় খেলাফত আন্দোলনে থাকলেও দল ত্যাগ করে গঠন করেন ইসলামী মোর্চা।
অতএব আমরা সহজে মেনে নিলেই পারি যে, পরিকল্পনা, কর্মপদ্ধতি, ব্যক্তিগত স্বার্থসহ বিভিন্ন বিষয়ে নেতৃবৃন্দের মাঝে মতবিরোধ হতে পারে। আর সেই বিরোধের জের ধরে হতে পারে দলবদল কিংবা দলগঠন।
*অসম্পূর্ণ লেখা পড়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ একটি অনুচিত কর্ম বলে বিবেচিত হয়ে থাকে! প্রথম পর্ব এখানে দেখুন > ফেসবুকে প্রকাশিত