খোরাসান মুসলিম ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হযরত উমর (রা:) -এর শাসনামলে পূর্বদিকে অবস্থিত বিশাল অঞ্চলকে খোরাসান বলা হতো। বর্তমান সময়ে যা কয়েকটি দেশে বিভক্ত হয়ে গেছে। যেমন (১) পুরো আফগানিস্তান। (২) তাজিকিস্তানের কিছু এলাকা। (৩) উজবেকিস্তানের কিছু এলাকা। (৪) তুর্কমেনিস্তানের কিছু এলাকা। (৫) পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মালাকান্ড ভূমি।
খোরাসান সম্পর্কে রাসূল (সা:) –এর বর্ণিত নিম্নলিখিত হাদিস সম্পর্কে কারো ভালোমতো জানা থাকলে একটু বলবেন। এই বিষয়ে কোনো বইয়ের সন্ধান দিতে পারলেও বেশ ভালো।
”হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেন, আমার পরে অনেক সেনাবাহিনী আসবে। তোমরা অবশ্যই সেই সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে যেটা খোরাসান থেকে আসবে। এটা এমন সময়, যখন মুসলমানদের স্বর্ণ-রৌপ্য এবং সম্পদের প্রাচুর্য থাকবে। কিন্তু তারা হবে খুব দুর্বল, অসহায় আর তুচ্ছ। বিজাতিরা একে অপরকে আহবান করবে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য, যেমন করে প্রচণ্ড ক্ষুধার্তরা খাবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিজাতিরা মুসলমানদের নিকট তাদের বিরোধী লোকদেরকে চাইবে। মুসলমানরা উত্তর করবে, আল্লাহর কসম! তারা আমাদের ভাই। আমরা কখনোই তাদেরকে দেবো না। আর এখানেই যুদ্ধের শুরু।
এক তৃতীয়াংশ মুসলিম যুদ্ধের ময়দান থেকে পালাবে আর তাদের তাওবাদ কখনোই কবুল করা হবে না। এক তৃতীয়াংশ নিহত হবেন আর তাঁরা আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠ শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত হবেন। বাকী এক তৃতীয়াংশ হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) এর নেতৃত্বে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না তাঁরা জয়ী হতে পারবে। সেই সময় তোমরা উঁচু পর্বতমালার মাঝে বৃক্ষ-বেষ্টিত একটি সমভূমিতে একত্রিত হবে। খোরাসান থেকে কালো পতাকাবাহী সেনাবাহিনী আসবে। কোন শক্তিই তাদের অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারবে না যতক্ষণ না তারা জেরুজালেমে তাদের পতাকা উত্তোলিত করে।
যদি তুমি খোরাসান থেকে কালো পতাকাবাহী সেনাবাহিনী কে আসতে দেখ অতিসত্বর তাদের সাথে যোগ দাও যদিও তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয়। কারণ তাদের মধ্যেই থাকবেন তোমাদের খলীফা, ইমাম মাহদী”। ফেসবুকে প্রকাশিত