জ্ঞানের সাথে ভালবাসার মিশ্রণই কেবল একজন মানুষের জাগতিক-পর-কালীন জীবনে সফলতা নিয়ে আসতে পারে।
শুধু জ্ঞান অহংকার সৃষ্টি করবে আর ভালোবাসা অন্ধে পরিণত করবে। দুটোর মিশ্রণই কেবল একজন মানুষকে তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে।
স্রষ্টার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন,রাসূলের অনুসরণ মানব জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। অতএব! সচেতনতা স্বীয় ক্ষমতা অনুযায়ী আবশ্যক। তবেই পৌঁছুবে তুমি আলোকিত মানযিলে। সার্থক হবে তোমার এ জীবন।
(৬)
অবহেলা, অবজ্ঞা, এড়িয়ে যাওয়া মানুষের স্বভাবের অংশ। প্রত্যেক মানুষই কখনো না কখনো কাউকে না কাউকে অবহেলা করে,অবজ্ঞা করে কিংবা তুচ্ছ জ্ঞান করে এড়িয়ে চলে।
মহান নবী মুহাম্মাদ (সা:) এর জীবনের দিকে তাকালে দেখা যায়, তাঁর কাছে সবার মূল্য ছিল সমান। ধনী-গরীব,যুবক-বৃদ্ধ সবার জন্য তাঁর দ্বার ছিল উন্মুক্ত।
কিন্তু আমাদের মধ্যে আছে শুধু চিৎকার করার ক্ষমতা। নেই আদর্শকে ধারণ করে নিজ, পরিবার, সমাজের জন্য কিছু করার আগ্রহ। আমরা শুধু নামেই উম্মাতে মুহাম্মাদী।
(৭)
আমরা কথায় কথায় হারাম আর বিদআত বলে থাকি। অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেন; “তোমরা ভালো কাজে মানুষদের আহ্বান করো হিকমাতের মাধ্যমে”।
যদি আমরা কাউকে বলি যে আপনি বিদআত করেছেন, আমি নিশ্চিত যে সেই ব্যক্তি রেগে যাবে। অথচ যদি বলি যে, আপনি সুন্নাতের বিপরীত করেছেন। তবে পূর্বের মতো রেগে যাবেন না। আর এই ফাঁকে ভুল সংশোধন হয়ে যাবে। দ্বীনের কাজে আমাদের আরও সচেতন হওয়া উচিৎ নয় কি?
(৮)
মানুষের চারিত্রিক গুণাবলীই তার বিকাশ ঘটায়। সৎ আচরণ ব্যক্তিকে করে মহান আর সমাজ ও পারিপার্শ্বিকতাকে করে অতি সুন্দরতম।
সৃষ্টি-জগতে মানবজাতি একটি জাতি। এই মানবজাতির মধ্যে বিরাজ করবে প্রেম-প্রীতি ও ভালোবাসা। সাম্প্রদায়িকতা নয় বরং সম্প্রীতি। ঘৃণা, নিন্দা, হিংসা, প্রতিহিংসা বা পশুত্ব নয় বরং মানবতা।