(৭)
—তোমরা জালিমদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ো না। যদি আকৃষ্ট হও, তবে তোমাদেরকে জাহান্নামের অগ্নি স্পর্শ করবে।
—যখন নফসকে জোরপূর্বক মাকরুহ কাজ থেকে বিরত রাখা হবে। তখন সে হারাম কাজ থেকেও বাঁচার শক্তি অর্জন করবে।
—যদি কোনো ব্যক্তিকে বলা হয়, অমুক কাজটি মাকরুহ। তবে সে এর অর্থ নেয় যে, সে কাজটি করতে হবে (যেহেতু মাকরুহ)।
আর যদি কোনো কাজ সম্পর্কে বলা হয় যে, এটি মুস্তাহাব। তবে সে ভাবে; এই কাজটি করতে হবে না (যেহেতু মুস্তাহাব)।
আহা! সম্পূর্ণ অর্থের বিকৃতি ঘটেছে। পুন্যের প্রতি নেই কোনো উচ্ছ্বাস, গুনাহের প্রতি নেই কোনো ভীতি।
(৮)
উপমহাদেশের উলামায়ে কেরাম সর্বদা সত্যের উপর অটল অবিচল ছিলেন। তাঁদেরকে আল্লাহ তায়ালা তাহারাত ও খোঁদাভীতির ন্যায় অমূল্য সম্পদ দ্বারা সম্মানিত করেছেন।
(৯)
—স্বভাব পরিবর্তনের লক্ষ্যে নিজেকে সময়মতো উৎসর্গ করতে না পারলে ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হব! অতএব সময় থাকতে সাবধান হতে হবে। আল্লাহ সাহায্য করো।
—মানুষ যতই অন্যকে ভালবাসুক।নিজের চাইতে কাউকেই সে বেশি ভালবাসে না।
—মানুষ কত সহজে অন্যকে আক্রমন করে;অথচ নিজের অবস্থান,যোগ্যতা,ক্ষমতা চিন্তাই করে না! হয়তো তাঁর কাছে দুনিয়াটাকে নিজের হাতে বানানো ঘর আর মানুষগুলোকে পুতুল মনে হয়! আল্লাহ তায়ালা হিদায়াত করুন।
—কেউ তোমাকে ৭০% মুল্যায়ন করলে তাঁকে কমপক্ষে ৩৫% মুল্যায়ন করা উচিত। হতে পারে জীবনে তাঁর চাইতে বড় কল্যাণকামী তুমি পাবে না।
(১০)
—কিছু মানুষ এমন আছে, যাদের বাহ্যিক অবস্থা অভ্যন্তরীণ অবস্থা হতে খারাপ। তাদের ব্যাপারে গভীর চিন্তা ভাবনা ছাড়া কোন সিদ্ধান্তে পৌছো না।
—সুযোগ জীবনে বারবার আসে না। কাজেই সুযোগের অপব্যবহার করে নিজেকে সফল মনে করো না।
—“মানুষ যা ভাবে,চেষ্টা করে, তা অর্জনও করতে পারে।
(১১)
—তাকওয়া মানব চরিত্রের অন্যতম সম্পদ।
—আপনি বলুন,যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস,তবে আমার অনুসরন কর, আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
—যে ইলমের দ্বারা অনন্ত সৌভাগ্য লাভের উদ্দেশ্যে আত্নশুদ্ধি ও চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনের পক্রিয়া এবং মানুষের যাহির ও বাতিন গঠন করা সম্বন্ধে অবগত হওয়া যায়,তাকে ইলমে তাসাওউফ বলা হয়।
—তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে,যেন তুমি তাঁকে দেখছো, আর তুমি আল্লাহকে দেখতে না পেলেও তিনি তো তোমাকে দেখছেন।
—কোন ব্যক্তিকে উপহাস বা তিরস্কার করা কিংবা মন্দ নামে ডাকা ইসলামের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ।
(১২)
—হাদিয়া ও ঘুষ এক নয়।
হাদিয়া দেওয়ার সময় নিয়তের মধ্যে পারস্পরিক মায়া-মমতা ছাড়া পার্থিব কোন স্বার্থ হাসিলের আশা থাকে না।
অপরপক্ষে ঘুষ দেওয়ার সময় উদ্দেশ্য হয় কোন স্বার্থ হাসিল করা। আসুন আমরা নিজেদের পরিবর্তন করি।
—মানুষের যোগ্যতাই তার সবচেয়ে বড় শত্রু। কোন কারন ছাড়াই যোগ্য ব্যক্তিদের শত্রু শুধু বাড়তেই থাকে।
আমরা কি পারি না নিজেদের পরিবর্তন করতে? যোগ্য মানুষদের প্রতিপক্ষ না ভেবে বন্ধু ভাবতে?
আমাদের কি নেই! সব কিছু থাকতে কেন অন্যের পিছনে আমরা শত্রুতা বশত লেগে থাকি???