ব্লগার আরিফ জেবতিক সিলেটের ছেলে। জার্মান ভিত্তিক কোম্পানি ডয়চে ভেলের ‘দ্য বস’ অ্যাওয়ার্ড জয়ী বাংলা ব্লগার আরিফ জেবতিক দীর্ঘদিন ধরে ব্লগিং করছেন। তিনি একজন স্বঘোষিত আস্তিক। সবসময় না পারলেও জুম’য়ার নামাজ পড়েন। ধর্মবিরোধী লেখা কখনো লেখেননি এবং যারা লিখে তাদের তুমুল সমালোচনাও করেন। একসময় ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত এই মানুষটা বর্তমানে রাজনীতির বাইরে আছেন। শাহবাগে হাতেগোনা যেকজন নির্দলীয় পরিচালক আছেন,তাদের অন্যতম আরিফ জেবতিক। কট্টর নাস্তিকরা তাঁকে সহ্য করতে পারে না। জামায়াত শিবিরের তুমুল সমালোচক অত্যন্ত শক্তিশালী এই লেখককে সুকৌশলে নাস্তিদের লিস্টে রাখা হয়েছে। তাঁর নাম ও ছবি দিয়ে একটা ব্লগ সাইট খুলে সেখানে ধর্মবিরোধী লেখা রাখা হয়েছে।
একজন মানুষ যখন ধর্মবিরোধী কিছু লিখে না,নিজেকে ধার্মিক দাবী করে,নাস্তিকদের তুমুল সমালোচনা করে; তখন ব্যক্তিবিশেষ বা দলের সমালোচনা করায় তাঁকে নাস্তিকদের নেতা বানিয়ে দেয়া কি উচিত হয়েছে?
আজকে আমার নামে যদি কেউ একটা আইডি খুলে সেখানে অশ্লীল লেখা প্রকাশ করে,তবে কি আমি সত্যিই অপরাধী হয়ে যাবো? অন্যে কেউ আমার নাম ব্যবহার করে খারাপ কিছু করলে আমাকে অপরাধীর তকমা দেয়া কতোটুকু বৈধ?
আমি দীর্ঘদিন ধরে এই মানুষটাকে চিনি। তাঁর অনেক কথা হয়তো যৌক্তিক নয়,তবে নাস্তিক উপাধি পাওয়ার মতো কোনো কিছু করতে দেখিনি।
একজন বিশ্বাসী মানুষকে নাস্তিক বলার শাস্তি খুব একটা কম হবে না। অথচ আমরা একটু যাচাই না করেই কেউ বললেই সেটা প্রচার করে দেই। “কাফা বিল মার’ই কাযিবান আই ইয়ুহাদ্দিসা বিকুল্লি মা সামিয়া”(দুঃখিত; আমার কাছে আরবি লেখার সফটওয়্যার নেই)। তখন কি আমাদের মনে পড়ে না?
সহজ একটা পন্থা বলি। কে নাস্তিক আর কে আস্তিক প্রমাণ ছাড়া বলে বেড়ানোর প্রয়োজন নেই। তবুও যদি নিজের অবস্থাকে পরিবর্তন করতে সক্ষম না হোন,তবে একটু কষ্ট করে যাকে নাস্তিক বলতে চান,তার নামটা গুগলে লিখে সার্চ করুন। লেখা পড়ে তার তার সম্পর্কে প্রাথমিক একটা ধারণা গ্রহণ করুন। তার ফেসবুক আইডি খুঁজে বের করুন। প্রয়োজনে অন্য কারো সহায়তা নিন। যখন সামান্যতম ধারণা অনুভূত হবে,আপনি ইচ্ছেমতো বলুন “তুই নাস্তিক,তুই নাস্তিক”। অন্তত গোনাহগার হওয়া থেকে বেঁচে যাবেন ইনশাল্লাহ। April 1, 2013