ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে বাইনাল ইফরাতি ওয়াত তাফরীত বা মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা। এতএব যারা কুরআন,হাদীসে শবে-বরাতের কথা বর্ণিত নয় বলে অস্বীকার করছেন তাদের অবগতির জন্য বলতে চাই, শাবান মাসের ফযীলত সম্পর্কিত হাদীস বুখারী শরীফ ও নাসায়ী শরীফে রয়েছে।
শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কে মুসনাদে আহমদ,তিরমিযী শরীফসহ অন্যান্য হাদীস গ্রন্থেও একাধিক হাদীস বর্ণিত আছে। এতএব বাংলা বই দেখে শবে বরাতকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা করাটা কোনোভাবেই ঠিক হবে না।
তবে একথাও ঠিক যে এ রাতকে ঘিরে সমাজে বিদআত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আতশবাজী, মিলাদ পড়ানো, হালুয়া রুটি বিতরণ, মাইকে উচ্চস্বরে তিলাওয়াত ইত্যাদিকে এ রাতের সাথে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এসব স্পষ্ট বিদআত।
মূলত এ রাতের জন্য নির্ধারিত কোনো আমল নেই। তবে এ রাতের ফযীলতকেও অস্বীকার করারও উপায় নেই।
আমাদেরকে কুরআন,হাদীস ভালোভাবে বুঝতে হবে। নির্ভরযোগ্য আলিমগনের সংস্পর্শে গিয়ে সঠিক মাসয়ালা জানতে হবে। নয়তো নিজের অজান্তেই হয়তো বিদআতের ধারালো তাঁরে জড়িয়ে পরব। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিকভাবে দ্বীন বুঝার তৌফিক দান করুন। July 5, 2012