আহ! ইসলামী রাজনীতি করেন, সংসদে ইসলামের পক্ষে কথা বলেন বলে গুলি করে শহীদ করে দিলো। এভাবে বারবার আক্রমণ হচ্ছে; কিন্তু পাকিস্তানের উলামায়ে কেরাম হিম্মত না হারিয়ে লড়ছেন। এইতো মাস-খানেক আগে মাওলানা ফযলুর রহমানের উপর আত্মঘাতী হামলা পরিচালিত হলো। ৩/৪ জন শাহাদত বরণ করলেন। সত্যি তাঁদের কোরবানি উলামায়ে দেওবন্দের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের কোরবানিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
বিগত সপ্তাহের একটি টকশোতে আত্মঘাতী হামলার বিষয়ে মাওলানা ফযলুর রহমান হাফিজাহুল্লাহকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, এসব নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করতে রাজি নই। কে হামলা করছে, কেন করছে, যদি এসব ভাবতে বসে যাই, তবে তো শত্রুপক্ষ তাদের কাজে সফল হয়ে গেলো। আমাদেরকে তারা নিজেদের লক্ষ্য থেকে হটিয়ে দিলো।
অথচ আমাদের উপর মামলা হওয়ার পরে চেহারার যে দশা হয়, তাতে …… যাক, আর নাই-বা বললাম। জানি না, আমরা নিজেদের দায়িত্ব আদায়ে কতোটা চেষ্টা করতে পারছি, কিন্তু তাঁরা যে করছেন এতে সন্দেহ নেই।
গতকাল শনিবার ফজরের নামাজ পড়াকালীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তান সিন্ধু প্রদেশের সেক্রেটারি, সাবেক সিনেট সদস্য ডাঃ খালিদ মাহমূদ সমরু(Dr. Khalid Mehmood Soomro) মসজিদের ভিতরে ৩ অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে শাহাদত বরণ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
শনিবারে ছিলো তাঁর ছেলের বিয়ে। ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলেন। উপস্থিত মুসল্লিদের মাধ্যমে জানা যায়, ডাঃ খালিদ মাহমুদ সুন্নাত আদায়ের পর বসে ছিলেন, আচমকা একটি গাড়ী আসলো এবং ৩ বন্দুকধারী গাড়ী থেকে নেমে মসজিদে প্রবেশ করে ব্রাশ ফায়ার করে বেরিয়ে গেলো। সাথে সাথে হাসপাতালে নেয়া হলো। সেখানে নেয়ার পর দেখা গেলো অনেক আগেই তিনি চলে গেছেন তাঁর মালিকের দরবারে। সেদিনই স্থানীয় একটি স্টেডিয়ামে প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় তাঁর জানাযা।
দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা তাঁর পরিবারবর্গকে ধৈর্যধারণের তৌফিক দান করুন। জান্নাতুল ফিরদাউসকে তাঁর পরকালিন বাসস্থান বানিয়ে দিন।
>>>এখানে ডাঃ খালিদ মাহমুদ সমরু (রহঃ) –এর বয়ানের একটি ভিডিও লিঙ্ক দিলাম। অনেকেই মুগ্ধ হবেন নিশ্চিত। ফেসবুকে প্রকাশিত